জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে  নির্বাচন চায় সমমনা জোট 

84
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করতে হবে।

শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

Advertisement
spot_img

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে অত্যন্ত ভয় পায়। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং বিএনপি নির্বাচনে থাকলে আওয়ামী লীগ কখনো জয়লাভ করতে পারবে না। সে কারণে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় তারই অংশ। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এই ফরমায়েশি রায়ের নিন্দা জানায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। জনগণ ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে ছয়-নয় করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, দফা এক দাবি এক- শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে দাবি আদায় করবে। তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথও পাবে না।

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, এনপিপির নবী চৌধুরী, মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর মিছিলটি পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

Advertisement
spot_img