চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেওয়ায় ডিআইজিকে স্মারকলিপি

112

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ থানায় গত ১৬ দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪টি মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করার বিষয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Advertisement
spot_img

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে আজ বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এছাড়া এধরনের মিথ্যা গায়েবী মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তাফা আমিন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আছে বিএনপি। বিএনপির উপর মানুষ আস্থা দেখে সরকার দলীয় লোকজন তাদের পুরোনো কায়দায় নতুন করে সারাদেশে মিথ্যা এবং গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানোর পায়তারা শুরু করছে। এর ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ এবং বোয়ালখালী থানার প্রতিটিতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামী করে ৪টি মামলা দায়ের করেছে। প্রতিটি মামলায় বাদী হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতারা। গত ১৬ জুলাই পটিয়া থানায়, ২২ জুলাই লোহাগাড়া থানায়, ২৮ জুলাই চন্দনাইশ থানায় এবং ১ আগষ্ট বোয়ালখালী থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রত্যেক থানায় রুজু করা মামলায় একই ধারা গুলো ব্যবহার করে শুধুমাত্র স্থান, সময়, বাদী এবং আসামীদের নাম ব্যতীত সম্পূর্ণ মিল রেখে ঘটনা বর্ণনা করেছে। প্রতিটি মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ধারা উল্লেখ করেছে, যাতে করে মামলা কঠিন হয়। অথচ ঐসময় ঐ এলাকাতে কোন প্রকার জমায়েত, মিছিল সমাবেশ বা অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা যে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানী করার জন্য করেছে তা দিবালোকের মতো পরিস্কার। ঘটনা বর্ণনায় যা আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সভা সমাবেশ করা মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ জনগণের সেবক।

নেতৃবৃন্দ বিগত কয়েকদিনে দায়ের করা এসব মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলায় বিএনপির নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি বা গ্রেফতার না করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবী জানান।

Advertisement
spot_img