রংপুরবাসীর উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিস্তার পানি পাবেন। যার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি পেয়েছেন, তার নেতৃত্বেই তিস্তার পানিও পাবেন। ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না।
বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা মানে বাংলাদেশের জনতার ক্ষমতা। আমরা (আওয়ামী লীগ) পালাব না। পালিয়েছে বিএনপির নেতা। কবে আসবে কেউ জানে না। এলে তো জেলে থাকতে হবে। রাজপথে খেলা হবে। রাজপথেই ফয়সালা হবে। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে অর্জন শেখ হাসিনা। আর গত ১৫ বছরে এই জাতি যা অর্জন করেছে, তার সবই শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এই অর্জনকে কোনোভাবেই নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। সারা বিশ্বের জন্য তিনি একমাত্র আমাদের বড় অর্জন।
তিনি আরও বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা কে? তারেক রহমান? ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশ চলে গেছে। আজকে আবার আরেকটি মামলার রায় হয়েছে। তাদের আরেক নেতা খালেদা জিয়া। তার নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। এতিমের টাকা দুর্নীতি করেছেন। তাদের নেতাও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ। আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা।
বিএনপির এক দফা কর্মসূচিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা শুরু করে শেষ করতে পারব না। খেলা হবে মজাদার খেলা। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন? পারবেন না। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। বিএনপি আর পারবে না। খাদে পড়া দলের দাবি বাস্তবায়ন হবে না। তাদের হাঁটু ভেঙে গেছে।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এর আগে মহাসমাবেশ মঞ্চে উঠে রংপুরের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমন ঘিরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বার্তা শোনার আশায় আছেন উত্তরের মানুষ।
এর আগে মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। সেদিন তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার আজ রংপুরে এসেছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।