বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করায় যে বার্তা অ্যামনেস্টির

128

বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিংহ বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আরও সহিংতা ও অস্থিরতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘনের হুমকিও বাড়ছে। সে কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি। কর্তৃপক্ষের উচিত হবে উত্তেজনা কমানো। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে শুধু সেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করতে হবে, যারা মানবাধিকার রক্ষা করে সভা-সমাবেশ ঘিরে পুলিশি সেবা দিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এসব সংস্থা প্রয়োজন ছাড়া বল প্রয়োগ করতে পারবে না এবং তা অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে।

Advertisement
spot_img

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জোরালোভাবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, অতি প্রয়োজন হলেই কেবল ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে। কোনোভাবেই সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা যাবে না। গুটিকয় মানুষের সহিংস আচরণে এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না, যাতে পুরো বিক্ষোভ সহিংস হিসেবে বিবেচিত হয়।

গত শনিবার ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার মাতুইয়াল, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। মাতুইয়ালে সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবিলম্বে বিরোধীদলীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারী ও বিরোধী নেতাদের যেন নির্বতনমূলক গ্রেপ্তার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে অ্যামনেস্টি বলেছে, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরে মানবাধিকার পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। বিক্ষোভকারীদের দমন না করে কর্তৃপক্ষের উচিত কথা বলার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার বাস্তবায়নে সহায়তার মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করা।

 

Advertisement
spot_img