চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

56

চট্টগ্রাম-১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর, খুলশী ও পাঁচলাইশ) উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। 

ভোট মনিটরিং করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।

Advertisement
spot_img

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

এ উপ-নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন— আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাইক চলাচলসহ অন্য যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, আনসারের দুজন সদস্য থাকবে। এছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে আনসারের থাকবে ১০ জন সদস্য এবং একজন গ্রাম পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। আবার পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র‌্যাবের চার টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে ভোটের এলাকায়। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।

Advertisement
spot_img